ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৭/০৯/২০২৫ ১:৩০ পিএম

সরকারি-বেসরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ছুটির সংখ্যা কমাতে চায় সরকার। এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিধান রঞ্জন এ পরিকল্পনার কথা জানান। সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়।

বিধান রঞ্জন রায় বলেন, আমাদের দেখতে হবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে কতটা সময় ব্যয় করা যাচ্ছে। বর্তমানে মাত্র ১৮০ দিন স্কুল খোলা থাকে। অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করবে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের শিক্ষাবহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ত না করারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে প্রায় ৩২ হাজার প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই। দীর্ঘদিন ধরে মামলার কারণে পদোন্নতি আটকে আছে। এ সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণে ৮০ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলি শতভাগ অনলাইনে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাত বছর ও এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাক্ষরতার হার বর্তমানে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রায় ২২ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনও নিরক্ষর। এরা মূলত বিদ্যালয় বহির্ভূত বা ঝরে পড়া শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাক্ষরতার বিকল্প নেই।

আবু তাহের বলেন, শুধু অক্ষরজ্ঞান অর্জনই সাক্ষরতা নয়। মাতৃভাষায় পড়তে ও লিখতে পারা, অনুধাবন করা, গণনা করতে পারা, মৌখিক ও লিখিতভাবে যোগাযোগ করতে পারা এবং ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করাও সাক্ষরতার অন্তর্ভুক্ত। মানবসম্পদ উন্নয়নে মৌলিক শিক্ষা, দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা, জীবনব্যাপী শিক্ষা ও বাজার চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ অপরিহার্য।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪ অনুযায়ী ১০-১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান এবং ১৫ বছর বা এর বেশি বয়সী নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতা, জীবিকার দক্ষতা ও জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৬৩ জেলায় ২৫ হাজার ৮১৫টি শিখনকেন্দ্রে ৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৬ জন মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

এছাড়া মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪ জেলার ২৪৮টি উপজেলায় ৪৪ লাখ ৬০ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী সাক্ষরজ্ঞান অর্জন করেছে।

কক্সবাজারে ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়া পাইলট প্রকল্পে ৬ হাজার ৮২৫ কিশোর-কিশোরীকে সাক্ষরতার পাশাপাশি ১৩টি পেশায় কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এই কর্মসূচি আরও ১৬ জেলায় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত

ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দিলেন ট্রাম্প

বাংলাদেশের জন্য রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেশাদার কূটনীতিক ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে মনোনীত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ...

সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে  আইনি পদক্ষেপ নেবেন ডাকসু প্রার্থী কক্সবাজারের জুমা

ফাতিমা তাসনিম জুমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট ...